ডেস্ক রিপোর্ট :জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালনে সব সময় এগিয়ে একজন চেয়ারম্যান। শীত বর্ষাসহ যে কোনো দুর্যোগ ও মহামারিতে তিনি গরিব-অসহায় মানুষের সেবায় সবসময় নিরলস পরিশ্রম করেন তিনি। প্রাণঘাতী বৈশ্বিক মহামারি করোনায়ও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। রাতের আঁধারে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রকৃত গরিব অসহায়দের ঘরে ঘরে নিজ হাতে বিতরণ করছেন খাদ্যসমগ্রী।
যশোরের শার্শা উপজেলার ৭নং কায়বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ আহমেদ টিংকু। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার আগেও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে তিনি ছিলেন সব মানুষের পাশে। তার ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামেই ধারাবাহিকভাবে রাতের আঁধারে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রকৃত গরিব-অসহায়দের মাঝে বিতরণ করে যাচ্ছেন খাদ্যসামগ্রী।
বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে ইউনিয়নের সাধারণ গরিব ও অসহায় মানুষ গৃহবন্দি। এসব গৃহবন্দি গরিব মানুষসহ যাদের বাড়ির ধারে কাছে বাজার নেই তাদের বাড়িতেও পৌছে দিচ্ছেন প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী।
তিনি “হ্যালো চেয়ারম্যান” নামে একটা খাদ্য সেল তৈরি করেছেন। তিনি তার মোবাইল নাম্বার ইউনিয়নের সকলের মাঝে দিয়ে বলেন এখন থেকে যার বাড়িতে খাদ্য থাকবেনা তারা আমাকে এই নাম্বারে অর্থাৎ “হ্যালো চেয়ারম্যান” এর নাম্বারে কল দিলেই সরাসরি অথবা গোপনে তার বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে যাবে। এভাবে তিনি তার নিজস্ব তহবিল থেকে ইউনিয়নের কর্মহীন মানুষের চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছেন। তিনি একাজে তার নিজস্ব তহবিলকে কাজে লাগিয়েছেন এবং সম্পৃক্ত করেছেন স্বেচ্ছায় সহযোগিতায় এগিয়ে আসা আগ্রহীদেরকেও ।
চেয়ারম্যান হিসেবে মানুষের এ দুঃসময়ে পালন করে যাচ্ছেন যথাযথ দায়িত্ব। দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের উচিত যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে অসহায় জনগণের পাশে থাকা।
শুধু গরিব অসহায়দের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে থেমে থাকেনি এ চেয়ারম্যান। ইউনিয়নে যেসব দিনমজুর, সিএনজি,অটো ও রিক্সা চালক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তাদের সহযোগিতায় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছেন চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ আহমেদ টিংকু।
চেয়ারম্যান সরকারি জিআরের চাল এবং নিজ তহবিল থেকে চাল, তেল, আলু ও ডাল বিতরণ করে যাচ্ছেন। এসব সামগ্রী রাতের আঁধারে নিজে বহন করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে গরিবদের মাঝে পৌছে দিয়ে জনসেবার অনন্য কৃতিত্ব অজর্ন করছেন তিনি।